সংস্কার
জাতীয়তাবাদ
ইনসাফ
প্রযুক্তি ও প্রগতি

৪র্থ শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ও এগিয়ে যাওয়ার

১। বাংলাদেশে অতিসত্বর পূর্ণাঙ্গ ও বিশ্বমানের এ.আই (AI) ও আইওটি (IoT) ল্যবরেটরী তৈরী করতে হবে।


২। প্রথম পাঁচ বছরের জন্য প্রতি বছর ৫০ হাজার মেধাবী শিক্ষার্থীকে যোগ্যতার ভিত্তিতে মেশিন লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, অগমেন্টেড রিয়ালিটি, ভার্চুয়াল রিয়ালিটি, থ্রিডি প্রিন্টিংয়ের মতো চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে সম্পৃক্ত টেকনোলজি বিষয়ে বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির মাধ্যমে পাঠাতে হবে।


৩। রোবটিক্স, এআই ও আইওটি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে উত্তীর্ণ মেধাবী তরুণদের স্টার্টআপ মূলধন হিসেবে নূন্যতম ৭৫ লক্ষ টাকা তার ব্যবসায়িক চলমান খরচের জন্যপ্রদান করতে হবে যাতে তারা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তিগুলোর দক্ষতা ব্যবহার করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারে।


৪। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড-কে কাজে লাগাতেচার কোটি নিষ্ক্রিয় জনসংখ্যার শিক্ষা, উপার্জন বা প্রশিক্ষণমূলক কাজের ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে।


৫। মধ্যপ্রাচ্যের প্রযুক্তির বাজার ধরার জন্য মাদ্রাসার প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আরাবী ভাষা ও প্রযুক্তি জ্ঞানে দক্ষ করতে হবে।

৬। সমন্বিত কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা-প্রশিক্ষণ (টিভিইটি)-কে শক্তিশালী ও জনপ্রিয় করতে হবে। একইসাথে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈশ্বিক ইন্ডাস্ট্রির যোগাযোগ বাড়াতে সবুজ অর্থনীতি, সুনীল অর্থনীতি এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তিগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কারিকুলাম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।


৭। টেক সংশ্লিষ্ট প্রতিটি প্রোগ্রামকে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় অ্যাক্রেডিটেশনের আওতায় আনতে হবে এবং আউটকাম বেইজড এডুকেশন (ওবিই) নিশ্চিত করতে হবে।


৮। বিদেশী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও জাতীয়-আন্তর্জাতিক ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে এবং টেক জায়ান্টদের মাধ্যমে দেশের টেক অবকাঠামো উন্নয়ন ও কর্মক্ষেত্র সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে হবে।


৯। কর্মক্ষেত্রে মিড লেভেল ম্যানেজমেন্টের ট্রেইনিং প্রোগ্রাম ওডিপ্লোমা প্রোগ্রাম চালু করতে হবে এবং এক্ষেত্রে টেক উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ চালু করতে হবে।


১০। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে কোডিং শেখা বাধ্যতামূলক বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।


১১। সায়েন্স, আর্টস, কমার্স যেই ধারার পড়ালেখাই হোক না কেন, সেটা পড়া এবং পড়ানো দুই ক্ষেত্রেই টেকনোলজির সন্নিবেশ ঘটিয়ে শিক্ষাকে ইন্টারডিসিপ্লিনারি করতে হবে। বিশেষ করে এআই ভিত্তিক টিচিং-লার্নিং-ইভাল্যুয়েশন টুলসের ব্যবহার বাড়াতে হবে।


সংস্কার বাস্তবায়নে যোগ দিন